করোনাকালে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : মদ‍্যপদের দৌরাত্ম‍্য বাড়ছে বন্ধ বিদ‍্যালয় চত্ত্বরে

18th August 2021 9:21 am বাঁকুড়া
করোনাকালে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : মদ‍্যপদের দৌরাত্ম‍্য বাড়ছে বন্ধ বিদ‍্যালয় চত্ত্বরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  আঁধার ঘনালেই স্কুল চত্বরে বসে মদের ঠেক ! ভয়ঙ্কর চিত্র বাঁকুড়ার গোবিন্দপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে !

সন্ধ্যে নামলেই রোজানা বসে মদের আসর, লতানে গাছে ভর্তি জানালা , দরজা , স্কুল চত্বরের এদিক ওদিক জঞ্জালের সাথে পড়ে দেদার মদের বোতল । চিত্রটা কোনো আড্ডার ঠেক কিংবা ক্লাবের নয়, এটা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার গোবিন্দপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের । যে চিত্রটা যেন আবারো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের সভ্য সমাজের মাঝে নিদারুণ এক অসভ্যতা । জানা গেছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন স্কুল চত্বর ভরে উঠেছে ঝোপঝাড়ে , অন্যদিকে স্কুলে বেড়েছে অসাধু কিছু মানুষের উপদ্রব । স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, এই মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের একদিকে যেমন দিনের পর দিন স্কুলের জানলা দরজা ও জলের কল ভাঙছে কিছু অসাধু ব্যক্তি, তেমনই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই স্কুল চত্বরে চলছে মদ্যপানের আসর । আর এইসব কারণেই নিজের রূপ বা ঐতিহ্য হারিয়ে আজ স্কুলটি পরিণত হয়েছে একটি জঞ্জালপূর্ন জায়গায় । অনেকেই আবার বাইরে থেকে দেখে সেটিকে পৌরাণিক বাড়িও মনে করতে পারে । সব মিলিয়ে ভাঙাচোরা ভগ্নপ্রায় স্কুলে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মদের বোতল, এই সবকিছু দেখেও নীরব প্রশাসন , এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের । আর এই অভিযোগে সম্মতি দেখিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও । এমন অবস্থায় কি পুরানো রূপ ও ঐতিহ্য ফিরে পাবে স্কুলটি ? প্রশ্ন উঠছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।